ঘুরে ঘুরে বস্তা বস্তা পশুর হাড় জোগাড় করুন। তা থেকে কোটি কোটি টাকা কামান।
জানি, কথাটা মমতা ব্যানার্জি বলেছেন বললেই ঘণ্টা খানেকের মধ্যে কয়েক হাজার মিম, সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে খিল্লির বান ডাকবে।
সত্যি সত্যি কিন্তু এক ভদ্রলোক রাজাবাজারে কসাইয়ের দোকানে দোকানে ঘুরে কয়েক বস্তা গরুর হাড় কিনে ফাঁকা মাঠে পুড়িয়ে, ভস্মে সালফিউরিক অ্যাসিড যোগ করে ‘সুপার ফসফেট অব লাইম’ বানিয়েছিলেন। তার সঙ্গে সোডার প্রতিক্রিয়ায় তৈরি করেন ‘ফসফেট অব সোডা’। তারপর সালফিউরিক অ্যাসিড-সহ নানা রাসায়নিক ও ওষুধ তৈরি করেন এক্কেবারে দেশীয় কায়দায়, দেশীয় জিনিসপত্র দিয়ে।
ওই ভদ্রলোকের হাত ধরেই তৈরি হয়েছিল ভারতের প্রথম ওষুধ ও রাসায়নিক তৈরির কারখানা বেঙ্গল কেমিক্যালস অ্যান্ড ফার্মাসিউটিক্যালস। এবং আক্ষরিক অর্থেই হাজার হাজার কোটি টাকা আয় হয়েছে।
বহু বছর আগে সেই ভদ্রলোক বারবার বাঙালিকে বলেছেন, ‘ব্যবসা করো, শিল্প ধরো, চাকরির মায়া ছাড়।’
ভদ্রলোকের নাম আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়।
প্রফুল্লচন্দ্রের বেঙ্গল কেমিক্যালস |
সমস্যাটা আমাদের মানসিকতায়। ইংরেজি শিক্ষায় শিক্ষিত বাঙালি ব্রিটিশের বিভিন্ন দফতরে চাকুরে হল। সেটাই হল কাল। তৈরি হল ‘ডিগ্রিপ্রিয়, চাকরিপ্রিয় বাঙালি’। শব্দগুলো প্রফুল্লচন্দ্রের ব্যবহার করা। ‘বিলাসের আরামশয্যা’-য় বাঙালি ‘আলস্যের নিদ্রায় সুখের স্বপ্ন’ দেখে আর ‘বুদ্ধির অহংকারে অন্ধ হইয়া বাঙালি সকল দিকের সকল ক্ষেত্র হইতে পরাজিত হইয়া পশ্চাদপদ হইতেছে। মাড়োয়ারি, ভাটিয়া, দিল্লিওয়ালা ব্যবসাবাণিজ্যের সকল ক্ষেত্র করতলগত করিতেছে আর আমরা বাঙালিরা তাদের হিসাব লিখিয়া মাসমাহিনা লইয়া পরমানন্দে কলম পিষিতেছি। বাঙালি শ্রমজীবির দশাও কিছু ভাল নহে। আমাদের জীবনটা যেন দিনগত পাপক্ষয়। শুধু আলস্যের আরাম শয্যায় শয়ন করিয়া আমরা পদে পদে মনুষ্যত্বের লাঞ্ছনা ও অবমাননা করিতেছি। আজ বাঙালির পরাজয় পদে পদে।’
পরাজয়ের সেই অধ্যায় চলছে তো চলছেই। আর ক্রমাগত পরাজয়ের কারণ খুঁজতে এই পার্টি ওই পার্টির ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে আমরা আহ্লাদে আটখানা হয়ে উঠি।
সেই স্বাধীনতার আগে থেকে বাংলার শিল্প-বানিজ্যের রাশটা আছে অবাঙালিদের হাতে। চটকল দেখুন। ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প দেখুন। বস্ত্র শিল্প দেখুন। তথ্যপ্রযুক্তি শিল্প বলুন। ডানলপ-জেশপ-হিন্দ মোটরস-সিইএসসি-চা বাগান...মালিকানা অবাঙালিদের হাতে। আমি অবাঙালি-বিদ্বেষী নই। তাঁদের অনেকের হাত ধরেই রাজ্যের সম্পদ ভিন রাজ্যে চলে যাচ্ছে, তা সত্ত্বেও নয়। আমি মনে করি না, অবাঙালিদের এই রাজ্যে ব্যবসা করতে দেওয়া উচিত নয়। অবাঙালি ব্যবসায়ীরা থাকলেই বা বাঙালির ব্যবসা করায় অসুবিধা কি?
স্বাধীনতার পর বিধানচন্দ্র রায়ের সময় রাজ্যে কিছু রাষ্ট্রায়ত্ত কারখানা তৈরি হয়েছিল। শুধু আমাদের রাজ্যেই নয়, পরিকল্পিত অর্থনীতির অংশ হিসেবে ভারী শিল্প তৈরিতে লোহা ও কয়লা খনিতে সমৃদ্ধ পূর্বাঞ্চলে কেন্দ্রীয় সরকারের টাকায় বেশ কিছু ইস্পাত কারখানা তৈরি হয়েছিল তখন।
সে সব শিল্প বা কারখানায় চাকরি করেই খুশি থেকেছে বাঙালি। ব্যতিক্রম বলতে আছেন প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর, বাপ-ব্যাটা স্যর রাজেন্দ্রনাথ ও স্যর বীরেন্দ্রনাথ মুখার্জি, সুরেন্দ্রমোহন বসু, আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়দের মতো হাতে গোনা কয়েকজন।
অর্থনীতির নিজস্ব নিয়মেই শিল্পগুলো রুগন হয়। বন্ধ হয়। এখানেও হয়েছে। দেশভাগ-উদ্বাস্তু সমস্যা-মাসুল সমীকরণ নীতি-লাইসেন্স বৈষম্য-রাজনৈতিক আন্দোলনের সীমাবদ্ধ দৃষ্টিভঙ্গী ইত্যাদির যোগফলে ক্রমশ পিছিয়ে পড়েছে পশ্চিমবঙ্গ। কেন? সিপিএম বলেছে কংগ্রেস দায়ি। কংগ্রেস বা তৃণমূল আঙুল তুলেছে সিপিএমের দিকে। এই করেই দিন কেটেছে। এবং কাটছে। কিন্তু ক্রমশ পিছিয়ে পড়ার গোড়ার কারণ, বাঙালির ব্যবসাবিমুখ-‘ডিগ্রিপ্রিয়, চাকরিপ্রিয়’ মানসিকতার কথাটা কত কত বছর আগে দেখিয়ে দিয়ে গিয়েছিলেন আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়।
ডানলপ এখন |
আমরা প্রফুল্লচন্দ্রকে মনে রাখিনি। বড্ড কড়া ডোজের লোক ছিলেন বলেই হয়তো বা।
প্রিন্স দ্বারকানাথ কটি বেশ্যাখানার মালিক ছিলেন, তিনি কীভাবে সোনাগাছির মতো যৌনপল্লি তৈরি করেন, বাগানবাড়িতে বিলাসিতায় মত্ত দ্বারকানাথকে ঘৃণায় ছেড়ে যেতে চেয়েছেন তাঁর স্ত্রী ইত্যাদি জাতীয় রগরগে গল্প নিয়ে যত লেখা, যত আলোচনা করেছে বাঙালি, তার এক শতাংশও করেনি তাঁর শিল্পোদ্যোগ নিয়ে।
ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল তৈরি হচ্ছে |
রাজেন্দ্রনাথ ও তাঁর তিন সৃষ্টি |
মানসিকতার এই রোগটাই আমাদের ক্রমশ পিছিয়ে পড়ার কারণ।
বললেই তো আর হয় না। আগে তো মানসিকতা তৈরি করতে হবে। তাই ২০১৯ থেকে দিল্লির সমস্ত সরকারি স্কুলের নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ্যসূচিতে যুক্ত হয় Entrepreneurship Mindset Curriculum (EMC)। ২০২১ থেকে ব্যবসা শুরুর জন্য একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের মাথা পিছু ২,০০০ টাকা করে দেওয়া হয়। প্রায় ৩ লক্ষ ছাত্রছাত্রীর জন্য সরকারের খরচ হয় ৬০ কোটি টাকা। ৩-৪-৫ জন ছাত্রছাত্রী গ্রুপ বানিয়ে নানা ভাবনার ব্যবসা শুরু করে। একদল কম দামে ভালো মানের সাউন্ড সিস্টেম বানিয়ে আয় করছে, অন্য দল আয় করছে নিজেদের বানানো কম্পোস্ট সার বেচে, আরেক দল পেন্টিং বিক্রি করে....এরকম নানা আইডিয়া। প্রথম বছরই আসে ৫১ হাজার আইডিয়া। ছাত্রছাত্রীদের ভাবনা বিনিয়োগকারীদের সামনে হাজির করার দায়িত্বটা সরকারই নেয়। তাতে বিনিয়োগও (venture capital) পাচ্ছে ছাত্রছাত্রীরা। পাশ করার পরে ওরা নিজেরা ব্যবসা করে স্বাবলম্বী হবে, একই সঙ্গে আরও অনেকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থাও করতে পারবে।
(বিস্তারিত জানতে প্রকল্পের সরকারি ওয়েবসাইট বা ইউ টিউব লিঙ্ক দেখতে পারেন)
এটা সম্পূর্ণ নতুন একটা ধরণ। নতুন ধরণের ভাবনা।
বিজনেস ব্লাস্টারস। বিনিয়োগকারীদের মুখোমুখি ছাত্রছাত্রীরা। মাঝে দিল্লির শিক্ষামন্ত্রী |
আমাদের রাজ্যের আজকের ছবিটা দেখুন। আমরা বাঙালিরা আজও কাজ মানে বুঝি চাকরি। মানুষ হওয়া মানে বুঝি ডিগ্রি জোটানো। এই যে হাজার হাজার ছেলেমেয়ে কলেজগুলোতে বিএ-বিএসসি-বিকম পাস কোর্সে পড়ছেন। লাভ কি? ছাত্র আন্দোলনের কর্মী থাকার সময় থেকেই এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজেছি। সরকারের কত টাকা খরচ হচ্ছে, পরিবারগুলোর কত টাকা খরচ হচ্ছে, ছাত্রছাত্রীদের কত সময় নষ্ট হচ্ছে বলুন। শিক্ষা সবার জন্য কিন্তু উচ্চশিক্ষা সবার জন্য নয়। সবাই তা পেতে আগ্রহীও নন। অন্য রাস্তা না থাকায় বাধ্য হতে হয়।
দুই বিজ্ঞাপন |
বেঙ্গল কেমিক্যালসের |
মনে আছে, আমি তখন দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা এসএফআই-এর সম্পাদক। আমাদের আন্দোলনের জেরে পাথরপ্রতিমায় কলেজ তৈরির সিদ্ধান্ত নিল সরকার। তখন মথুরাপুরের সাংসদ ছিলেন বিজ্ঞানী প্রয়াত রাধিকারঞ্জন প্রামানিক। আমাকে একদিন বললেন, ‘ওখানে ইতিহাস-ভূগোল না পড়িয়ে ট্রলার সারানো ইত্যাদি কোর্স করাতে বল। তাতে ছেলেমেয়েরা কাজ পাবে।’ সবাই জানি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা থেকে প্রতি বছর প্রচুর ট্রলার যায় মাছ ধরতে। বলার অপেক্ষা রাখে না, সেই কলেজে সাধারণ ইতিহাস-ভূগোল পড়ানোর ব্যবস্থাই হয়েছিল। বামফ্রন্ট সরকারের মন্ত্রী হিসেবে মানব মুখার্জি, বংশগোপাল চৌধুরীরা কিছু বিক্ষিপ্ত চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু সামগ্রিক মানসিকতার সমস্যায় তা ক্রমশ লাল ফিতের ফাঁদে পড়ে হারিয়ে গেছে। মহিলাদের স্বনির্ভর গোষ্ঠী অনেক তৈরি হয়েছিল। সেখানেও সেই সমস্যা। বাজারের ব্যবস্থা করা যায়নি।
সুরেন বসুর ডাকব্যাক সংস্থার বিজ্ঞাপন |
সাধারণ ভাবে আমাদের দেশের প্রচলিত রাজনৈতিক দলগুলোর আর্থিক উন্নয়ন, কর্মসংস্থান, শিল্পায়ন সম্পর্কে ভাবনা মোটামুটি এক-‘গুজরাট মডেল’। বিনিয়োগ আনতে শিল্পপতিদের পায়ে পড়ে যেতে হবে। তারপর কত বিনিয়োগ এল তার ঢাউস বিজ্ঞাপন। বিজেপি, কংগ্রেস, তৃণমূল, সিপিএম---সবার ভাবনার রাস্তাই মোটামুটি এক। অথচ দেখা যাবে এই মডেলে বিনিয়োগের অনুপাতে কর্মসংস্থান খুব কম। খোঁজ নিন গুজরাটে। ১৫০ পদে নিয়োগ হবে। আবেদন করেছেন ৩ লক্ষ। এত কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগের পরেও কতটা বেকারত্ব থাকলে এটা হয়। দেখা যাবে গুজরাটে যেমন বিনিয়োগ বেড়েছে, তেমনই বৈষম্যও বেড়েছে। অমর্ত্য সেন, অভিজিৎ বিনায়ক ব্যানার্জি, প্রণব বর্ধন, মৈত্রীশ ঘটক, প্রভাত পট্টনায়েক...কারও আর্থিক উন্নয়নের ভাবনাই কিন্তু এই মডেলকে সমর্থন করে না। দুনিয়াজুড়ে এই মডেলই তো সংকটের মুখে। সেই সংকটের রাস্তা খুঁজে পাচ্ছেন না পুঁজির মালিকরা। সেই সংকট মুক্তির রাস্তার খোঁজ নাকি দিতে পেরেছেন, তাই এ বছর তিন অর্থনীতিবিদ নোবেল সম্মান পেলেন। কেন সেই রাসতা খুঁজে পাওয়া অসম্ভব, সে আলোচনা এখানে করতে চাইছি না। আমাদের জমি কম, বেকার প্রচুর। তাই পুঁজিনির্ভর শিল্প (capital intensive) নয়, আমাদের প্রয়োজন শ্রম নির্ভর (labour intensive) শিল্প। তার পরিকল্পনা প্রয়োজন। আর প্রয়োজন শিক্ষার গুমোড়, চাকরির লোভ ছেড়ে ব্যবসায় মন দেওয়া। তাতে অবশ্যই সরকারের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। এখন তো সামান্য কয়েকজনের হাতে বিরাট বিরাট পুঁজির মালিকানা। তার সঙ্গে পাল্লা দিতে হলে তো প্রাথমিক ভাবে সরকারের সাহায্য দরকার।
দিল্লি সরকারের উদ্যোগের কথা আগেই বলেছি। আমাদের রাজ্যে একাদশ-দ্বাদশে ছাত্রছাত্রী সংখ্যা প্রায় ১৫ লক্ষ। প্রত্যেককে ২ হাজার টাকা করে দিতে হলে সরকারের ৩০০ কোটি টাকা খরচ হবে। বিভিন্ন ক্লাবকে পুজো অনুদান হিসেবে সরকার দিয়েছে ২৪০ কোটি টাকা। ক্লাবগুলোকে বার্ষিক অনুদান দিতে সরকারের খরচ প্রায় ১০০ কোটি টাকা। মানে টাকা আছে। দরকার দৃষ্টিভঙ্গী বদলের। (ক্লাবগুলোকে সরকার অনুদান দিলে কোনও কাজ হয় না, সেটা আমি মনে করি না। তবে পুজো কমিটিগুলোকে দেওয়া টাকা জলে দেওয়া বলেই মনে হয়। সে টাকাতেও কাজ হয় ধরে নিলেও, সরকারকে অগ্রাধিকার ঠিক করতে হয়। ক্লাবকে অনুদান না কর্মসংস্থান? ভোটের অংক না সুখের অংক?)
অথবা ধরা যাক ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পের কথা। মাসে ১০৯০ কোটি টাকা খরচে উপকৃত হচ্ছেন প্রায় পৌনে দু কোটি মহিলা। তাঁদের ক্রয় ক্ষমতা বাড়ছে। কিন্তু তাতে কিছু উৎপাদন হচ্ছে না। অর্থনীতির পরিভাষায় ভ্যালু অ্যাড হচ্ছে না। ওই টাকা স্বনির্ভর করার কাজে খরচ করলে টাকা যেমন কোষাগার থেকে বেরোত তেমনই কোষাগারে ঢোকার ব্যবস্থাও হত। রাজ্যের অর্থনীতির চেহারাটা ভাল হত। এবং হ্যাঁ, তাৎক্ষণিক যে ভোটের অংক মাথায় রেখে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্প, ভোটবাক্সে তার চেয়েও বেশি সুবিধা পাওয়া যেত।
কী হচ্ছে? কর্মসংস্থানের নামে মিথ্যা চমক। ‘উৎকর্ষ বাংলা’ প্রকল্পে নাকি চাকরির ব্যবস্থা করছে রাজ্য সরকার। আইটিআই-পলিটেকনিক ইত্যাদি থেকে পাশ করাদের কাজ দেয় বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা। আজ থেকে নয়, বহু বছর ধরে। সেগুলোই বিলি করে সরকারের কৃতিত্ব দাবি করছেন মুখ্যমন্ত্রী। অনেকে এত বড় ধাপ্পাকেও বিশ্বাস করছেন।
সমস্যাটা আসলে গোড়ায়। সমস্যাটা মানসিকতায়। আমরা যেমন হব। আমরা তেমন শাসকই তো পাব।
(এই সংক্রান্ত আলোচনা থাকবে পরের লেখাতেও। অনুগ্রহ করে লেখাগুলো পড়ে মতামত দিন, সমালোচনা করুন। কষ্ট করে দেখুন, নিচে কমেন্ট করার জায়গা আছে।)
- জ্যোতির্ময় রায়
সমৃদ্ধ হলাম।
তবে আমার কাছে লেখাগুলো একটু বেশি আত্মকেন্দ্রিক লাগছে। আরেকটু reporting আকারে লিখলে ভাল লাগত।